লক্ষ্মীপুর জেলায় অনেক বিখ্যাত স্থাপনা রয়েছে যেগুলো ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য শৈলীর দিক থেকে অনেক উন্নত। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রামগতি একটি উপযুক্ত স্থান। রামগতি বাজারের পশ্চিম দিক দিয়ে মেঘনা নদী বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য খুবই মনোরম। এটি একটি প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। পর্যটকরা এখানে বসে ইলিশ ধরার রোমাঞ্চকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। রামগতি ভ্রমণের সময় পর্যটকরা সেখানকার মিষ্টি এবং মহিষের দুধে তৈরী ঐতিহ্যবাহী দই সংগ্রহ ও উপভোগ করতে পারে। এখানে কুয়াকাটার মত সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। রঙ-বেরঙের পালতোলা নৌকার সারি পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ দৃশ্য তুলনাহীন। বন বিভাগের বিশাল বনায়ন, কেয়াবনের সবুজ বেস্টনীও নজরে আসবে। যাতে সড়ক ও নৌপথে পর্যটকদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। পর্যটন স্পটগুলো সরকারের সংরক্ষণ নীতিমালার আওতায় রাখা এবং এর উন্নয়ন প্রয়োজন। পর্যটকদের সুবিধার্থে আধুনিক হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্থাপন করা প্রয়োজন। আমত্মজেলা বাস টার্মিনাল পর্যমত্ম রামগতি-সোনাপুর রোড পাকা করা প্রয়োজন। লক্ষ্মীপুরে ঐতিহাসিক স্থান, মসজিদ ও মাজার রয়েছে, যেগুলো পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারে। লক্ষ্মীপুরের কাঞ্চনপুরে মহান সাধক হযরত মিরান শাহ (রঃ)-এর মাজার এবং দুইশত বছরের অধিক পুরাতন রামগঞ্জের শ্যামপুর দায়রা শরীফ ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় গুরত্বপূর্ণ স্থান । রামগতিতে অবস্থিত দায়রা শরীফও ধর্মানুরাগী মানুষকে আকর্ষণ করে। দালাল বাজারের কামানখোলা জমিদার বাড়ি একটি দর্শনীয় স্থান। দুই শত বছরের প্রাচীন রায়পুরের তিতাখাঁ জামে মসজিদ স্থানীয়ভাবে জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত। একশত পনের বছরের প্রাচীন কাঞ্চনপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ এবং মান্দারী বাজার মসজিদ সৌন্দর্য্য ও স্থাপত্য শৈলীর জন্য প্রসিদ্ধ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস