লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন চাষঃ একটি সম্ভাবনা
সয়াবিন বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বহু গুন সম্পন্ন একটি ফসল। এতে ৪০-৪৫% প্রোটিন এবং ১৮-২২% তৈল থাকে। অন্যান্য ডাল ও শুটি জাতীয় শস্যের তুলনায় সয়াবিন দ্বিগুন আমিষ সম্পন্ন অথচ দাম কম। তাই আমাদের দেশের জাতীয় আমিষের ঘাটতি পূরনের লক্ষ্যে সয়াবিন চাষ এবং এর বহুবিধ ব্যবহারের বিকল্প নেই। সয়াবিন লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম প্রধান ফসল। মোট দেশজ সয়াবিনের উৎপাদনের সিংহভাগ-ই উৎপন্ন হয় লক্ষ্মীপুরে । লক্ষ্মীপুরের বিস্তীর্ন কৃষি জমির অধিকাংশই সয়াবিন চাষে ব্যবহুত হয়। প্রধানত রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় সয়াবিন চাষ হয় ব্যাপক হারে। সয়াবিন মূল বেলে দোআঁশ ও লবনাক্ত মাটিতে ভাল জন্মে । এই অঞ্চলের মাটি সয়াবিন চাষের বিশেষ উপযোগী। লক্ষ্মীপুর জেলার সার্বিক সয়াবিন উৎপাদনের চিত্র বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে, ২০০৯-২০১০ সালেএ জেলায় মোট ৩৫,৬২২ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয় এবং মোট উৎপাদন হয় ৭৬৬১০ মেট্রিক টন, ২০১০-১১ সালে মোট ৩৯,২৮৭ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয় এবং মোট উৎপাদন হয় ৭৬৬১০ মেট্রিক টন। সয়াবিনের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। সয়াবিন থেকে সয়াডাল, সয়াদুধ, সয়াছানা, সয়াপিয়াজু, হালয়াসহ নানাবিধ পুষ্টিকর খাবার তৈরী করা যায়। যদিও সয়াবিনএখনও পোল্ট্রী খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয় তবুও পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিলে এটির বহুমুখী ব্যবহার সম্ভব।সয়াবিন রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। এতে অসম্পৃক্ত ফেটি এসিড থাকায় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটি অপুষ্টিজনিক রোগে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সয়াপ্রোটিন ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS